আজকের বসুন্ধরা গ্যাসের দাম কত ২০২৫
বাংলাদেশে এলপিজি (লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, বিশেষ করে রান্না, শিল্প ও পরিবহন খাতে। এ ক্ষেত্রে “বসুন্ধরা গ্যাস” একটি সুপরিচিত ও নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের এই পণ্যটি মানসম্পন্ন, নিরাপদ এবং সহজলভ্য হওয়ার কারণে গ্রাহকদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।বসুন্ধরা গ্যাস তার গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ও কঠোর নিরাপত্তা মানদণ্ড অনুসরণ করে। প্রতিটি সিলিন্ডার আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী তৈরি ও পরীক্ষিত হয়, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমায়।
বাংলাদেশজুড়ে বসুন্ধরা গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক থাকায় এটি সহজেই বাজারে পাওয়া যায়। বাসা-বাড়ি, রেস্টুরেন্ট এবং শিল্প কারখানার জন্য বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়, যা ব্যবহারকারীদের জন্য সুবিধাজনক।এলপিজি তুলনামূলকভাবে ক্লিন ফুয়েল, যা পরিবেশের জন্য নিরাপদ। বসুন্ধরা গ্যাস কম কার্বন নিঃসরণ করে, ফলে এটি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।বসুন্ধরা গ্যাস শুধু রান্নার জন্য ব্যবহৃত হয় না; এটি শিল্প, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে, এলপিজি চালিত যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বসুন্ধরা গ্যাসের চাহিদাও বাড়ছে।
বসুন্ধরা এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ২০২৫
২০২৫ সালে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেশ কয়েকবার পরিবর্তিত হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১,৪৫৯ টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসের এই দাম ১৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১,৪৭৮ টাকায় পৌঁছায়। সময় নিউজ থেকে যানা যায়।
বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এলপি গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যায়, তবে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড তাদের উচ্চমানের জন্য সুপরিচিত। তবে, কিছু এলাকায় বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডারের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে, যা গ্রাহকদের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে। গ্যাস সিলিন্ডার কেনার সময় অবশ্যই সঠিক হলোগ্রাম দেখে নেওয়া উচিত, যাতে ভেজাল বা নিম্নমানের পণ্য থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
এলপি গ্যাসের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভরশীল এবং সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সর্বশেষ মূল্যের তথ্যের জন্য বিশ্বস্ত সূত্র বা স্থানীয় বাজারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
নতুন গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ২০২৫
বাংলাদেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম নিয়মিত পরিবর্তিত হয়, যা আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য এবং স্থানীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মাসে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১,৪৭৮ টাকায় নির্ধারিত হয়েছে।
নিচে বিভিন্ন ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দামসহ তালিকা প্রদান করা হলো:
সিলিন্ডারের ওজন | মূল্য (টাকা) |
---|---|
৫.৫ কেজি | ৬৬৭ |
১২.৫ কেজি | ১,৫১৬ |
১৫ কেজি | ১,৮১৯ |
১৬ কেজি | ১,৯৪০ |
১৮ কেজি | ২,১৮৩ |
২০ কেজি | ২,৪২৫ |
২২ কেজি | ২,৬৬৮ |
২৫ কেজি | ৩,০৩২ |
৩০ কেজি | ৩,৬৩৮ |
৩৩ কেজি | ৪,০০২ |
৩৫ কেজি | ৪,২৪৪ |
৪৫ কেজি | ৫,৪৫৭ |
এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের পরিবর্তন, ডলারের বিনিময় হার এবং স্থানীয় বাজারের চাহিদা-সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) প্রতি মাসে সমন্বয় করে। তাই, সর্বশেষ মূল্যের তথ্যের জন্য নিয়মিত বিইআরসি বা বিশ্বস্ত সংবাদ মাধ্যমের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করা উচিত।সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে এবং নিরাপদ ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত পরিবেশক থেকে এলপিজি সিলিন্ডার ক্রয় করা উচিত।
আজকে বসুন্ধরা গ্যাসের দাম ২০২৫
বসুন্ধরা এলপি গ্যাস বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। তাই বসুন্ধরা এলপি গ্যাস কেনার সময় বিইআরসি বা বিশ্বস্ত সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুসরণ করা উচিত। তবে বাজারে বিভিন্ন দোকানে বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কিছুটা ভিন্ন হয় যা ১,৪০০ থেকে ১,৪৬৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়। এই দাম বৃদ্ধি সৌদি সিপি (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) বৃদ্ধির ফলে হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
নিরাপত্তার জন্য কিছু বিষয়
বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এলপিজি সিলিন্ডার পাওয়া যায়, যেমন বসুন্ধরা, ওয়ালটন, ওয়েস্টার্ন, জ্বালানী, এবং আরও অনেক। প্রতিটি ব্র্যান্ডের সিলিন্ডারের দাম ও মান ভিন্ন হতে পারে। সঠিক দাম এবং মান নিশ্চিত করতে অনুমোদিত ডিলার বা সরবরাহকারীর কাছ থেকে এলপিজি সিলিন্ডার ক্রয় করা উচিত।
নিরাপত্তার জন্য কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত:
- সিলিন্ডার সবসময় সোজা বা খাড়া অবস্থায় রাখতে হবে।
- টিউব, রেগুলেটর বা অন্য কোনো অংশে লিকেজ আছে কিনা তা নিয়মিত চেক করতে হবে, তবে কখনোই আগুন ব্যবহার করে নয়।
- সরাসরি সূর্যের তাপে সিলিন্ডার রাখা উচিত নয়।
- সিলিন্ডার শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
- নিম্নমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম-কানুন
সিলিন্ডার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ, বিশেষ করে রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে। সঠিকভাবে ব্যবহারের অভাবে এটি দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলা জরুরি।
সঠিকভাবে সিলিন্ডার সংযোগ স্থাপন
- সিলিন্ডার সংযোগ করার আগে চেক করুন, যাতে কোনো লিকেজ না থাকে।
- রেগুলেটর সঠিকভাবে বসানো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- গ্যাস পাইপ সঠিকভাবে সংযুক্ত আছে কিনা পরীক্ষা করুন।
নিরাপত্তার জন্য সতর্কতা
- রান্নাঘর বা সিলিন্ডার সংরক্ষণের স্থান অবশ্যই পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের উপযোগী হতে হবে।
- সিলিন্ডার ব্যবহারের সময় কোনো ধরণের আগুন, ধূমপান বা ইলেকট্রিক স্পার্ক থেকে দূরে থাকুন।
- গ্যাসের গন্ধ পেলে সঙ্গে সঙ্গে রেগুলেটর বন্ধ করুন এবং দরজা-জানালা খুলে দিন।
- কখনোই গ্যাস লিক পরীক্ষা করতে আগুন ব্যবহার করবেন না; বরং সাবান পানি ব্যবহার করুন।
সিলিন্ডার সংরক্ষণের নিয়ম
- সিলিন্ডার সর্বদা সোজা অবস্থায় রাখতে হবে।
- সরাসরি সূর্যালোক থেকে দূরে রাখুন।
- শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
- খালি সিলিন্ডার আলাদা করে সংরক্ষণ করুন এবং সময়মতো রিফিল করুন।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়
- রান্না শেষ হলে গ্যাস চুলার নিয়ন্ত্রক বন্ধ করে দিন।
- সিলিন্ডার বা রেগুলেটরে কোনো সমস্যা দেখলে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।
- জরুরি প্রয়োজনে নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিস বা গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করুন।
- সঠিক নিয়ম মেনে সিলিন্ডার ব্যবহার করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো সম্ভব এবং নিরাপদে এটি ব্যবহার করা যাবে।
শেষ কথা
বসুন্ধরা গ্যাস বাংলাদেশের এলপিজি বাজারে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত নাম, যা মান, নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতার দিক থেকে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে। আধুনিক জীবনযাত্রায় নিরাপদ ও কার্যকর জ্বালানির চাহিদা ক্রমবর্ধমান, এবং এই চাহিদা মেটাতে বসুন্ধরা গ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
Post Comment