আমরা সকলেই জানি সোনা একটি মূল্যবান ধাতু যেটি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন দেশের মুদ্রার তৈরীর ক্ষেত্রেও এই সোনা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে সোনা একটি মূল্যবান ধাতু যেটি পৃথিবীর সকল প্রান্তেই তার প্রচলন রয়েছে বিশেষ করে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে এই সোনা দিয়ে নানা ধরনের স্বর্ণালংকার তৈরি হয়ে থাকে। বিশেষ করে এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত করে থাকে।  এটি অতি মূল্যবান একটি ধাতু যেটা দিয়ে বিভিন্ন স্বর্ণালংকার তৈরি হয়ে থাকে যেমন- কানের দুল, আংটি, গলার মালা, হাতের চুরি, এবং আরও ইত্যাদি এই সোনার দাম নির্ভর করে সোনার বাজার মূল্যের উপরে ।

সৌদি আরব কাতার সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সোনার ব্যবহৃত হয়ে থাকে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিমা দেশগুল সহ বিশ্বের সকল দেশগুলোতে এই সোনার ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে সোনার অনেক ভাগ রয়েছে যেমন ২১ ক্যারেট ২২ ক্যারেট ২৪ ক্যারেট ইত্যাদি এর মধ্যে ২৪ ক্যারেটের সোনার দাম সব থেকে বেশি হয়ে থাকে। আমরা অনেকেই জানিনা যা আজকে দুবাই সোনার দাম কত তাই আমরা দুবাইয়ের সোনার দাম সম্পর্কে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে বিস্তারিত জানবো চলুন শুরু করা যাক।

আজকে দুবাই সোনার দাম কত

দুবাই স্বর্ণের দাম সম্পর্কে অনেকেরই অজানা তথ্যগুলো জানার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকে তাই দুবাইয়ে ২৪ ক্যারেটের ১ গ্রাম স্বর্ণের দাম প্রায় দুবাইয়ের টাকায় ৩২০ দিরহাম বা ৩৩০ দিরহাম হয়ে থাকে যা বাংলাদেশী টাকায় টাকা ১০৫৮৩ টাকা বা ১০৯১৪টাকা হয়ে থাকে। তারা এই স্বর্ণ দিয়ে অলংকার তৈরি করতে পারে না কারণ কারণ হচ্ছে এই ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের মধ্যে ১০০% বিশুদ্ধ স্বর্ণ পাওয়া যায় না।এটি অলংকার তৈরীর ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ নয়।তবে আজকে বাংলাদেশী টাকায় দুবাইয়ের ২৪ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৭০ টাকা বা তার একটু বেশি হতে পারে

আমরা হয়তো সকলেই জানি না যে বাংলাদেশে যে সকল সোনা পাওয়া যায় সেই সকল সোনা বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। তবে দুবাইয়ের স্বর্ণগুলো খনন করে তারা উত্তোলন করে থাকে যার কারণে তাদের দাম একটু হলেও কম থাকে।তবে ১৮ ক্যারেট ২২ ক্যারেট ২১ ক্যারেট এবং ২৪ ক্যারেটের সোনার দাম দুবাইয়ে অনেকাংশই কম হয়ে থাকে।

দুবাই সোনার দাম ২০২৫

দুবাইয়ে খাঁটি সোনা উত্তোলন করে থাকে তারা যদি আপনি দুবাইয়ে প্রবাসী অথবা বসবাস করে থাকেন সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের তুলনায় আপনি দুবাই অনেক স্বল্প মূল্যে সোনা ক্রয় করতে পারবেন। দুবাইয়ের প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম ২৯৬ দিরহাম বা তার একটু বেশি হয়ে থাকে যা বাংলাদেশী টাকায় ৯৮৯০ টাকা বা তার বেশি।সেই তুলনায় দুবাইয়ের এক ভরি স্বর্ণের দাম বাংলাদেশি টাকায় এক লক্ষ ১৫ হাজার ৩২০ টাকা বা তার একটু বেশি।মনে রাখবেন প্রতিনিয়ত এই স্বর্ণের দাম ওঠানামা করে থাকে তাই স্বর্ণ কেনার আগে অবশ্যই বাজার যাচাই করা উচিত।

দুবাইয়ে ২২ ক্যারেট সোনার দাম

আমরা অনেকেই হয়তো জানি যে ২২ ক্যারেট স্বর্ণ অলংকার তৈরির ক্ষেত্রে একদম খাঁটি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের মধ্যে ৯১% খাঁটি স্বর্ণ পাওয়া যায়। বাকি ৯% এর মধ্যে রয়েছে জিংক এবং কপারের ধাতু মিশ্রণ থাকে। ২৪ ক্যারেট ২১ ক্যারেট এবং ১৮ ক্যারেটের থেকে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ অনেক টেকসই হয়ে থাকে। দুবাইয়ের ১ গ্রাম স্বর্ণের দাম ৯৮৯০ টাকা এবং এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লক্ষ ১৫ হাজার ৩২০ টাকা বা তার বেশি হয়ে থাকে।

দুবাই ১ ভরি সোনার দাম কত ২০২৫

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জানা যায় দুবাইয়ের ১ ভরি স্বর্ণের দাম এক লক্ষ ১৫ হাজার ৩২০ টাকা।আরো জানা যায় ২১ ক্যারেট ১ ভরি স্বর্ণের মূল্য এক লক্ষ টাকা বা তার বেশি এবং ১৮ ক্যারেট ১ ভরি স্বর্ণের মূল্য ৯০ হাজার টাকা বা একটু বেশি হয়ে থাকে। আর একটা বিষয় সবসময় মনে রাখবেন স্বর্ণের দাম বাজার মূল্য ভিত্তিতে ক্রয় করা উচিত।

আরব আমিরাতে সোনার দাম ২০২৫

আপনারা হয়তো জানেন আরব আমিরাতের সকল শহরে স্বর্ণের একটি গরদাম থাকে যেটি হল ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৩২০ টাকা এটি হচ্ছে ১ ভরি স্বর্ণের দাম। ১ গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ৬৬৬০ টাকা এবং ১ আনা স্বর্ণের মূল্য ৪ হাজার ৮৫৩ টাকা। আরব আমিরাতের বিভিন্ন শহরে চার আনা স্বর্ণের দাম বাংলাদেশি টাকায় ১৯ হাজার ৪১০ টাকা বা তার বেশি 

শেষকথা

অনেকেই দুবাইয়ে বসবাসরত রয়েছেন বা প্রবাসী হিসেবে রয়েছেন তাদের জন্য আমাদের এই পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আপনাদের কাজে লাগবে। কেননা আপনারা দেশে আসার পূর্বে অনেক চিন্তাকরছেন কিছু স্বর্ণ নিয়ে আসার জন্য তাদের জন্য আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে দুবাইয়ে স্বর্ণের দাম এবং বাংলাদেশে স্বর্ণের দামের মধ্যে কতটুকু পার্থক্য তা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। মনে রাখবেন বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশ থেকে স্বর্ণ আমদানি করা হয়ে থাকে যার দাম বাইরের দেশের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাই যারা দুবাইয়ে বসবাস করছেন তারা চাইলে স্বল্প দামে দুবাই থেকে কিছু স্বর্ণ নিয়ে আসতে পারেন যাতে করে আপনাদের পরিবারের লোকজনের কিছু অলংকার বা হাতের চুরি ইত্যাদি তৈরি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি দুবাই থেকে স্বর্ণ নিয়ে আসতে পারেন মনে রাখবেন অবৈধ পথে কখনোই কোন কিছু দেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন না যাতে আপনার ক্ষতি আপনার সম্মানের ক্ষতি এবং দেশের ক্ষতি হতে পারে ধন্যবাদ।