×

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৫

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৫

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৫

পাসপোর্ট (PASSPORT) করতে কত টাকা লাগে

আপনি ৪৮ পৃষ্ঠা এবং ৬৪ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর এবং দশ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন। তার জন্য পাসপোর্ট আবেদনের বিষয়ে জেনে নিয়ে পড়ে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সব কিছু জানার পড়ে আপনি নিজেই আবেদন প্রক্রিয়াটি শেষ করতে পারেন। পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় কত টাকা এবং কি কি লাগবে আপনার জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পাসপোর্ট যদি আপনি সাধারণভাবে এবং জরুরি ভিত্তিতে করতে চান তার জন্য প্রতিটি ক্যাটাগরির পাসপোর্ট করতে আপনাকে কত টাকা দিতে হবে বা পাসপোর্ট তৈরি করতে কী কী প্রয়োজন আজ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনাকে আমাদের কথা গুল শেষ পর্যন্ত বিস্তারিতভাবে পড়তে হবে। চলুন শুরু করা যাক।

বাংলাদেশ থেকে আবেদনের ক্ষেত্রে ই-পাসপোর্ট ফি ২০২৫

২০২৫ সালে পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে, তা মূলত পাসপোর্টের ধরণ, পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং ডেলিভারি পদ্ধতির উপর নির্ভর করে। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:

  • বিভিন্ন ধরণের ডেলিভারির জন্য আলাদা ফি প্রযোজ্য। এখানে রেগুলার, এক্সপ্রেস এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারির অপশন রয়েছে

  • ৪৮ পৃষ্ঠা এবং ৬৪ পৃষ্ঠা, এই দুই ধরণের পাসপোর্ট এর জন্য ফি ভিন্ন

  • ৫ বছর এবং ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্টের ফি ভিন্ন ভিন্ন

ই-পাসপোর্ট ফি কত টাকা জানেন কি

২০২৫ সালে বাংলাদেশে পাসপোর্টের ফি কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। পাসপোর্টের ফি আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ এবং পৃষ্ঠার সংখ্যা অনুসারে নির্ভর করে। নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:

বিভিন্ন প্রকার ই-পাসপোর্ট ফি টেবিলে দেওয়া হলো:

বছর পৃষ্ঠা রেগুলার ডেলিভারি এক্সপ্রেস ডেলিভারি সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি
৫ বছর ৪৮ ৪০২৫ টাকা ৬৩২৫ টাকা ৮৬২৫ টাকা
৫ বছর ৬৪ ৬৩২৫ টাকা ৮৬২৫ টাকা ১২০৭৫ টাকা
১০ বছর ৪৮ ৫৭৫০ টাকা ৮0৫০ টাকা ১০৩৫০ টাকা
১০ বছর ৬৪ ৮0৫০ টাকা ১০৩৫০ টাকা ১৩৮০০ টাকা

রেগুলার ডেলিভারিতে সময় লাগে প্রায় ১৫ কার্যদিবস, এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ৭ কার্যদিবস এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ২ কার্যদিবসের মতো লাগে

পাসপোর্ট করার জন্য কি কি প্রয়োজন

সপোর্ট করার জন্য কি কি প্রয়োজন তা আপনাদেরকে বিশদ ভাবে নিচে আলোচনা করা হল :

পাসপোর্টের জন্য ছবি

  • ২টি পাসপোর্ট সাইজ ছবি (৩.৫ x ৪.৫ সেমি)।
  • ছবির পেছনে নাম ও পিতার নাম লিখতে হবে।
  • ছবির রঙিন ও সাদা পটভূমি সহ সোজা পোজ হতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)

  • প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য: জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা NID এর সত্যায়িত কপি।
  • অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য: বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং জন্মনিবন্ধন সনদ।

জন্মনিবন্ধন সনদ

  • অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জন্মনিবন্ধন সনদ প্রয়োজন।
  • প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য: যদি পূর্বে পাসপোর্ট না থাকে, তবে জন্মনিবন্ধন সনদ সরবরাহ করতে হতে পারে।

ই-পাসপোর্ট ফি কত টাকা ২০২৫

২০২৫ সালে ই-পাসপোর্ট (ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট) এর ফি নিচে দেওয়া হলো:

৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট:

  • ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট:

    • রেগুলার ডেলিভারি (১৫ কার্যদিবস): ৪,০২৫ টাকা
    • এক্সপ্রেস ডেলিভারি (৭ কার্যদিবস): ৬,৩২৫ টাকা
    • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (২ কার্যদিবস): ৮,৬২৫ টাকা
  • ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট:

    • রেগুলার ডেলিভারি (১৫ কার্যদিবস): ৬,৩২৫ টাকা
    • এক্সপ্রেস ডেলিভারি (৭ কার্যদিবস): ৮,৬২৫ টাকা
    • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (২ কার্যদিবস): ১২,০৭৫ টাকা

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট:

  • ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট:

    • রেগুলার ডেলিভারি (১৫ কার্যদিবস): ৫,৭৫০ টাকা
    • এক্সপ্রেস ডেলিভারি (৭ কার্যদিবস): ৮,০৫০ টাকা
    • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (২ কার্যদিবস): ১৩,৩৫০ টাকা
  • ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট:

    • রেগুলার ডেলিভারি (১৫ কার্যদিবস): ৮,০৫০ টাকা
    • এক্সপ্রেস ডেলিভারি (৭ কার্যদিবস): ১৩,৩৫০ টাকা
    • সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (২ কার্যদিবস): ১৩,৮০০ টাকা

এই ফিগুলি ই-পাসপোর্ট এর জন্য নির্ধারিত ফি। আপনি ফি অনলাইনে পেমেন্ট বা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন।

বাংলাদেশী দূতাবাস থেকে আবেদনের ক্ষেত্রে ই-পাসপোর্ট ফি

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলে, সেক্ষেত্রেও ফি ভিন্ন হয়। এটি সাধারণ আবেদনকারী এবং শ্রমিক/শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা হয়ে থাকে:

  • সাধারণ আবেদনকারীর জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের রেগুলার ডেলিভারি ফি $১০০ ডলার এবং এক্সপ্রেস ডেলিভারি ফি $১৫০ ডলার। ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের রেগুলার ডেলিভারি ফি $১৫০ ডলার এবং এক্সপ্রেস ডেলিভারি ফি $২০০ ডলার
  • শ্রমিক/শিক্ষার্থীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের রেগুলার ডেলিভারি ফি $৩০ ডলার এবং এক্সপ্রেস ডেলিভারি ফি $৪৫ ডলার। ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের রেগুলার ডেলিভারি ফি $১৫০ ডলার এবং এক্সপ্রেস ডেলিভারি ফি $২০০ ডলার

পাসপোর্ট ফি পরিশোধের নিয়ম

পাসপোর্ট ফি সাধারণত কয়েকটি মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। ব্যাংক চালান ফরম পূরণ করে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকের মাধ্যমে ফি জমা দেওয়া যায়। এই ব্যাংকগুলো হল

  • প্রিমিয়ার ব্যাংক,
  • ওয়ান ব্যাংক,
  • ট্রাস্ট ব্যাংক,
  • ঢাকা ব্যাংক
  • ব্যাংক এশিয়া

এই পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট ফি প্রদান করা যায়। এছাড়াও বিকাশের মাধ্যমেও ই-পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করা যায়।

বিকাশের মাধ্যমেও ই-পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া যায়। এই ক্ষেত্রে, পাসপোর্ট আবেদনের সময় পেমেন্ট সিস্টেম হিসেবে অনলাইন পেমেন্ট অপশনটি বাছাই করতে হবে.

পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়ার পরে, ট্রেজারি চালান বা রসিদ কপিটি নিজের কাছে রাখতে হবে, যা পরবর্তীতে পাসপোর্ট আবেদন ফর্মের সাথে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হয়।

Post Comment